কক্সবাজারের চকরিয়ায় শ^াশুড়িকে ছুরিকাঘাত করার ১৫ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত শ্বাশুড়ি পারভীন আক্তার (৩৮) অবশেষে মারা গেছেন। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) ভোর ৫টার দিকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।পারভীন আক্তার চকরিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়ার ব্যবসায়ি আবদুল হামিদের স্ত্রী।এদিকে, গত ১৭ জানুয়ারী দুপুরে জুমার নামাজের সময় বাড়িতে পুরুষ না থাকার সুযোগে বখাটে স্বামী মেহেদী হাসান শ^শুর বাড়িতে এসে তার স্ত্রী হাফসা ও শ্বাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাফসাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত হাফসার মা পারভীন আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে পারভীন আক্তার মারা যান।একইদিন ঘাতক মেহেদী হাসানকে পার্বত্য লামা থানা পুলিশের সহায়তায় লামা বাজার থেকে গ্রেফতার করে চকরিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন হাফসার পিতা আবদুল হামিদ।জানা যায়, সম্প্রতি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মেহেদী হাসানের সাথে হাফসার বিয়ে হয়। প্রেমের সম্পর্কের বিয়ে হওয়ায় উভয় পরিবার প্রথমে মেনে না নিলেও পরে মেনে নেয়। এক পর্যায়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় স্ত্রী হাফসা তার পিতার বাড়িতে চলে আসে। ঘটনার আগের দিন মেহেদী হাসান শ্বশুর বাড়িতে যায়।
সে তার স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চাইলে পরিবারের লোকজন ছাড়া হাফসার পিতা মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেয়নি। ঘটনার দিন শুক্রবার জুমার নামাজের সময় অতর্কিত এসে মেহেদী হাসান স্ত্রী হাফসা ও তার মা পারভীন আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. ইয়াসিন মিয়া বলেন, ছুরিকাঘাতে আহত পারভীন আক্তার মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ###
মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া ॥
প্রকাশিত:
জানুয়ারী ৩১, ২০২৫ ২:০৯ পিএম
পাঠকের মতামত